মীর মশাররফ হোসেনের সাংবাদিক সত্তা
-খন্দকার শামীম আহমেদ
সার-সংক্ষেপ
মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১১) বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলমান সাহিত্যিক, যিনি আধুনিক যুগের বাংলা সাহিত্যে একটি স্থায়ী আসন অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। বিষাদ-সিন্ধু, জমিদার দর্পণ-প্রণেতা হিসেবেই তিনি সাধারণ পাঠকের কাছে খ্যাতিমান। রত্নবতী, বসন্তকুমারী নাটক, সঙ্গীত লহরী প্রভৃতিতে তাঁর বিচিত্র প্রতিভার পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। গোজীবন, উদাসীন পথিকের মনের কথা প্রভৃতি রচনায় তাঁকে সমাজসচেতন সাহিত্যেক হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়। তিনি দুটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন- আজিজননেহার ও হিতকরী। সিপাহি বিদ্রোহ, নীলবিদ্রোহ, ওহাবি-ফরায়েজি আন্দোলন, জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের জন্ম, বঙ্গভঙ্গ, স্বদেশী আন্দোলন প্রভৃতি তাঁর জীবদ্দশাতেই ঘটেছে। বাঙালি মুসলমাদের মাতৃভূমি চেতনার সংকট ও সংশয়, সমাজের নানাবিধ সমস্যা, রাজনৈতিক শত্রু-মিত্র নির্ণয়ে সংশয়ের সেই যুগে মীর মশাররফ হোসেন পত্রিকার পাতায় অনেক সাহসিকতার সঙ্গে লিখেছেন। হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক, ঘুষ বা উৎকোচ, তরুণের নেশাক্রান্ত হওয়া, কুষ্টরোগিদের দুরবস্থা, বাল্যবিবাহ, শিক্ষা ব্যবস্থা, পুলিশের অত্যাচার- প্রভৃতি বিষয়েও এই সাহিত্যিক-সম্পাদকের কলম নিরলস চলেছে। মীর মশাররফ হোসেনের সাংবাদিক সত্তার স্বরূপ অন্বেষণের চেষ্টা করা হয়েছে এই প্রবন্ধে।
সম্পূর্ণ লেখা
*ড. খন্দকার শামীম আহমেদ: সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা।