ইতিহাস সন্ধিক্ষণ: ১৯৭৫ সালের নভেম্বরের সংবাদপত্রে স্বরূপ অন্বেষা
মো. মিনহাজ উদ্দীন
সারসংক্ষেপ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা আর নভেম্বরে অভ্যুত্থান, পাল্টা-অভ্যুত্থানের সেই সময়টা বেশ ঘটনাবহুল। এই সময় নিয়ে পরস্পর বিরোধী আলোচনা-সমালোচনা আর তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ইতিহাসবিদ বা কলাম লেখকরা নিজেদের মত করে ঐ সময়ের ঘটনাপ্রবাহ ব্যাখ্যা করে আসছেন। আর যেহেতু এই ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কোন কমিশন গঠিত হয়নি, খালেদ মোশাররফ-হুদা-হায়দারসহ অন্যান্য সেনা কর্মকর্তা বা সদস্য হত্যাকা-ের বিচার হয়নি, তাই আজও ঐ ঘটনাপ্রবাহ খুবই অস্পষ্ট আর পরস্পরবিরোধী। এই গবেষণায় ১৯৭৫ সালের ৪-৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের চারটি দৈনিক ও একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার আধেয় বিশ্লেষণ করে ঐ ঘটনাপ্রবাহের চরিত্রগুলো বিশেষ করে জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ ও কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের কার্যক্রম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা পত্রিকায় পাতায় কীভাবে চিত্রিত হয়েছেন তা তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষমতার পালাবদল পরিক্রমায় কে, কীভাবে গণমাধ্যম ব্যবহার করেছেন তাও জানার চেষ্টা করা হয়েছে। আধেয় বিশ্লেষণ পদ্ধতির এই গবেষণায় দেখা গেছে ৩ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে এক অভ্যুত্থান করলেও খালেদ মোশাররফ অজ্ঞাত কোন কারণে সেই সময় গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নেননি। তাই তাঁর অভ্যুত্থান সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে ছিল। তাঁর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়েও ছিল বিভ্রান্তি। অন্যদিকে ৭ নভেম্বর জেনারেল জিয়া ক্ষমতার কেন্দ্রে এসেই গণমাধ্যমগুলোর উপর শক্ত কর্তৃত্ব আরোপ করেন। ঐ দিন অর্থাৎ ৭ নভেম্বরই দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক বাংলা বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। জয়গান-গুণগান ও স্বাধীনতা রক্ষার স্লোগানে জিয়া চলে আসেন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে। অন্যদিকে গণমাধ্যমের কোথাও ছিল না খালেদ মোশাররফসহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যার খবর। গণমাধ্যমে একেবারেই আসেনি বন্দিদশা থেকে জিয়াকে মুক্ত করতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রচেষ্টা বা কর্নেল তাহেরের কথা। যদিও ৭ নভেম্বর ঘটনাপ্রবাহে তাহেরের নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার বিশেষ মোড় পরিবর্তনকারী ভূমিকা ছিল।
মূল শব্দ
১৯৭৫ সালের নভেম্বরের সংবাদপত্র, ৩ নভেম্বর, ৭ নভেম্বর ১৯৭৫, খালেদ মোশাররফ, জিয়াউর রহমান, কর্নেল তাহের
পরিপূর্ণ লেখা